Current Bangladesh Time
বুধবার এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৩:২২ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » বরিশাল জেলা প্রশাসককে কটুক্তি করায় ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ 
Wednesday April 29, 2020 , 11:05 pm
Print this E-mail this

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়

বরিশাল জেলা প্রশাসককে কটুক্তি করায় ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে বরিশাল জেলা প্রশাসককে নিয়ে কটুক্তি করায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। আজ বুধবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ বরাবর পাঠানো বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সেরনিয়াবাত স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হলো।

ঘটনার নেপথ্যে :

যেকোনো মুহুর্তে বহিস্কার হতে যাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান সুজন। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে নিজেকে নায়কের ভুমিকায় অবস্থান রাখলেও তার ইতি বেশি দূর টানতে দেননি সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ। অবশেষে বিদায়ের ঘন্টা বেজে উঠলো এই নেতার বিরুদ্ধে। জানা গেছে, বরিশাল থেকে অদূরে কীর্তনখোলা নদীর পারঘেষা সদর উপজেলার ওই জনপদে বেশ তোরজোড়ে অবস্থানে ছিলেন সুজন। অপরাধ জগতে সবকিছুর সাথে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বেশ চড়া মেজাজে নিজেকে সগরম রাখতেন। বিভিন্ন সুত্রের দাবি, সদর উপজেলার একাধিক পয়েন্ট থেকে চাদা উওোলন করতেন সুজন। চাঁদার টাকা কেউ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে বেধরক পিটিয়ে আহত করতেন নিজেই। তবে কৌশলে আবার আহতদের চিকিৎসলায় পর্যন্ত পৌঁছে দিতেন বটে। এক কথায় প্রকাশে বলতে হয়, শহরতলী থেকে অদূরে এই জনপদটি সুজনের অপরাধ জগতের আখরায় পরিণত হয়েছে। অপর একটু সুত্র নিশ্চিত করে, সুজনের ক্ষমতার প্রভাব সদর উপজেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আতংকিত রাখে। সদর উপজেলার গণ-পরিবহন থেকে শুরু করে ছোট যানবাহন থেকেও মিলতো মাসোয়ারা। দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী তান্ডব ও কম দেখাননি এই ছাত্রলীগ নেতা। একপ্রকার বলা যায়, বাংলা ছবির ভিলেন স্টাইলে চলতেন যুবক বয়সী এই নেতা। যেখানে একাধিক অপরাধের শুক্রানু সৃষ্টি করে বীরদর্পে চলতেন সুজন। সদর উপজেলার একটি স্থানীয় সূত্রের দাবী, শুধু চাঁদাবাজ আর সন্ত্রাস করেই ক্ষ্যান্ত হননি তিনি। পাশাপাশি রয়েছে মোটা অংকের টাকার ডিলে অন্যের জমি দখল করে পাইয়ে দেওয়া, গাছ কাটা সহ একাধিক কালো অধ্যায়ের কর্মকান্ড। অবশ্য বেশ কিছুদিন পুর্বে একাধিক আঞ্চলিক পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছিল সদর উপজেলার চাঁদপুরে জমি দখল নিয়ে সুজনের সন্ত্রাস। যেখানে স্থানীয় এক ডাকাত সর্দার আব্দুর রবের জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারে তার পক্ষ নিয়ে ওই অসহায় পরিবারটির উঠানো নির্মানধীন বিল্ডিং ভেংগে গুড়িয়ে দিয়েছে। তবে পরিবারটির দাবী আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে আব্দুর রব বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা সুজনের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদের নবাগত স্থাপনাটি গুড়িয়ে দেয়। এনিয়ে থানা পর্যন্ত সুজনকে আসামী করে মামলার প্রস্ততি নিলেও প্রভাবশালী সুজনের নাটকীয় কারিশমায় ভঙ্গ হয়ে যায় সকল দায়ের করা অভিযোগ। অবশ্য সুজনের বিরুদ্ধে বেসরকারি একটি অনলাইন টিভি চ্যানেলে ভুক্তভোগী এক জনৈক ব্যাক্তিকে দুষতে দেখা গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ নেতা সুজন তার দলবল নিয়ে আমাদের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়। তবে এই ছাত্রলীগ নেতা তার এহেন কর্মকান্ডকে তোয়াক্কা না করে আতংকিত রাখছেন নদীর ওপারের ওই জনপদটিকে। সর্বশেষ পল্লি-বিদুৎ অফিসের এক লাইনম্যানকে বেধরক প্রহর করে নিজেকে আরও আলোচিত করেছেন। অবশ্য তার বিরুদ্ধে আহত লাইনম্যানের পক্ষ থেকে মামলাও হয়েছে বটে। তবে অনেকটা উড়োচিঠির মতো উড়য়ে দিচ্ছেন নিত্যদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনাসমুহ। তবে মামলা থেকে নিজেকে আড়াল করতে মেয়র সাদিকের পক্ষ নিয়ে বেশকদিন আগে তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়ালে লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে, বরিশাল জেলা প্রশাসককে আহাম্মক বলতে দেখা গেছে। একাধিক ছাত্রনেতা প্রশ্ন রাখছেন, কিভাবে জেলার উচ্চপদের এক কর্মকর্তাকে আহম্মক বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে যুবকবয়সী এই নেতার নেতিবাচক কর্মকান্ড আর ধোপে টেকেনি। মজার বিষয় হচ্ছে, মেয়র সাদিকের বাহবা নিতেই এই ছাত্রলীগ নেতার লাইভ ভিডিওর কৌশল এখন জিলো টলারেন্সে। বরংচ মেয়র সাদিক এখন ক্ষুদ্ধ বেজায়। শহরতলীর এই শীর্ষ নেতা, যুবরত্ন সাদিক কিছুটা উচ্চ মেজাজে বলেন, সুজনের এমন লাইভ ভিডিও আমাকে ভাল পায়নি উল্টো বাঁশ দিয়েছে। সুজন প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করার ইখতিয়ার রাখে না। সে সিটির নাগরিক না এবং সেখানে আমাদের প্রতিমন্ত্রী শামিম কাকুর মত সিনিয়র লোক উপস্থিত ছিল। আমি তার বক্তব্যকে সমর্থন করি না বলে জানায় মেয়র সাদিক। এদিকে মিডিয়াকর্মীদের সিরিজ নিউজে টক অব দা টাউনে পরিণত হয় শহর। ছাত্রলীগের অক্ষুন্ন রাখতে, একপর্যায় বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমনের স্বাক্ষরিত ছাত্রলীগের প্যাডে কেন্দ্রীয় কার্যালয় বরাবর বিতর্কিত নেতা সুজনের বহিস্কারের জন্য প্রস্তাব রাখা হয়। অবশ্য আজ কিংবা কালকের ভিতর এই আদেশ আমলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাকে দলীয় শৃঙ্খলা লঙনের কারণে বহিস্কার করবে। স্বচ্ছ পানির মত কিছুটা পরিস্কার বোঝা গেল, মেয়র সাদিক ক্ষুদ্ধ বেজায় সুজনকে তার সম্মানিত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সুএ বলছে, মেয়র সাদিক অন্যায় অনিয়মের সাথে কখনও আপোষ করেন না বিধায় সুজনের এই দশা। মেয়র সাদিককে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের আগামীর বরিশাল।




Archives
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: চান মিয়ার শেষ বিদায়
Image
বরিশালে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার
Image
২৪ বছর পর কারামুক্ত ওলিউলকে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
আবারও ক্যান্সারে মৃত্যু, বড়সড় জরিমানার মুখে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’
Image
অকালেই নিভে গেল শিশু সামিয়ার জীবন প্রদীপ