প্রচ্ছদ » স্লাইডার নিউজ » বরিশালে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন, উদ্বিগ্ন মানবাধিকার!
Thursday June 4, 2020 , 7:26 pm
প্রকাশ্যে দিবালোকে শিক্ষককে অমানবিক নির্যাতন ও গলায় জুতার মালা দিয়ে মোবাইলে ভিডিও করা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন
বরিশালে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন, উদ্বিগ্ন মানবাধিকার!
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলাধীন দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী ও পরিষদের সদস্য মিলে উপবৃত্তির কিছু টাকাকে পুঁজি করে মধ্যে দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা মোঃ শহীদুল ইসলাম আলাউদ্দিনকে প্রকাশ্যে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ গলায় জুতার মালা দিয়ে মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। গতকাল ভিডিওটি ভাইরাল হলে তা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও সচেতন মহল সহ মানবাধিকার সংস্থার মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এবং নির্যাতনকরী সহ জড়িত সকলের আইনের আওতায় আনার দাবী উঠেছে সর্বত্র। উক্ত চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা’র রংপুর বিভাগীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি (প্রশাসন) এবং ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি কমিশন’র রংপুর বিভাগীয় বিশেষ প্রতিনিধি মানবতাবাদী মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান তীব্র প্রতিবাদ ও উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে শিক্ষককে অমানবিক নির্যাতন ও গলায় জুতার মালা দিয়ে মোবাইলে ভিডিও করা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আইন ও বিচার বহির্ভূত এবং ইউপি চেয়ারম্যানের দুঃসাহস হয় কি করে আইন ও বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার। তাই ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ীসহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনের ফৌজদারি ধারায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাষ্ট্রের প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং অবিলম্বে চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার জন্য মানবাধিকারের পক্ষে বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়ার রহমান ও জেলা পুলিশ সুপারকে সবিনয় অনুরোধ করছি।এসময় তিনি আরও বলেন, অপরাধী যেই হক না কেন মানবাধিকার লঙ্ঘন সহ আইন ও বিচার বহির্ভূত বিষয়গুলি মানবাধিকার সংস্থা কখনো বরদাস্ত করে না। জানা গেছে, দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার উপবৃত্তির কিছু টাকাকে পুঁজি করে গত বুধবার (৩ জুন) ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ীর নির্দেশে অনুমানিক ১০:৩০ মিনিটে বাড়ি থেকে মাওলানা মোঃ শহীদুল ইসলাম আলাউদ্দিনের পিছনে দুইহাত বেঁধে নিয়ে যায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে। সেখানে বিচারের নামে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত আটকে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা দিতে অস্বীকৃতি ও অক্ষমতার কথা জানালে ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার ইউপু সদস্য ও গ্রাম পুলিশ মিলে পরিষদের চারিদিকে উৎসুক জনতার সম্মুখে মাওলানা মোঃ শহীদুল ইসলাম আলাউদ্দিনের গলায় জুতার মালা পরিয়ে মোবাইলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন।