|
হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামাল অলি বিশ্বাসের বসত বাড়ির পুকুর হতে উদ্ধার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের প্রধান আসামী গ্রেফতার
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ইউনিয়নে ৩০ জুলাই গভীর রাতে ত্রিপল মার্ডারের ৮ দিনের মাথায় সেই লোমহর্ষক রহস্য উদঘাটন করেছে। শিশুসহ দম্পত্তি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও ২ আসামীকে গ্রেফতারের ঘটনায় পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন। পিরোজপুর গোয়েন্দা শাখা ও মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের অভিযানে গতকাল ৭ আগস্ট রাত অনুমানিক ১ ঘটিকায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ অলি বিশ্বাস (৩৮), পিং : মৃত তোজাম্বর আলী বিশ্বাস, গ্রাম : ধানিসাফা হতে গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সাথে জড়িত অন্য খুনি রাকিব বেপারী (২০), পিং : কাওসার বেপারীকে একই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বাকী আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামাল অলি বিশ্বাসের বসত বাড়ির পুকুর হতে উদ্ধার করেন। হত্যা মিশনে ব্যবহৃত ২ টি স্টিলের পাইপ, ১ টি রামদা, ১ টি দেশীয় দা ও লুণ্ঠিত কিছু অর্থসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, এ চক্রটি দস্যুতা করার উদ্দেশ্যে আয়নাল হকের বাড়িতে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে তারা মূলত আয়নাল হকের এলাকার পরিচিতজন। এক পর্যায়ে তাদের আয়নাল হক চিনে ফেলায় ফেঁসে যাবার ভয়ে গোটা পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আজ সন্ধ্যায় থানা চত্বরে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান স্থানীয় সাংবাদিকদের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের রহস্য লিখিত আকারে প্রকাশ করেন।
প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন, মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান, তদন্ত ওসি আব্দুল হক, পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার সেকেন্ড অফিসার দেলোয়ার হোসেন, মঠবাড়িয়া থানার সেকেন্ড অফিসার জাহিদ হাসান, এস আই গোলাম মাওলানা প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই মঠবাড়িয়া থানাধীন ধানীসাফা ইউনিয়নের ধানীসাফা গ্রামে একটি লোমহর্ষক হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। যেখানে শিশু সন্তানসহ পুরো একটি পরিবারের ৩ সদস্য, স্বামী মোঃ আয়নাল হক (৩৫), স্ত্রী খুকুমনি (৩০) ও শিশু কন্যা আসফিয়া (৩) কে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে বসত ঘরের চালের আড়ার সংগে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
Post Views:
১৪৮
|
|