Current Bangladesh Time
শনিবার এপ্রিল ২০, ২০২৪ ৯:৪৩ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » নাটোরে শিক্ষকের কক্ষে গাইড বই, তালা দিলেন সভাপতি! 
Monday January 6, 2020 , 2:00 pm
Print this E-mail this

নাটোরে শিক্ষকের কক্ষে গাইড বই, তালা দিলেন সভাপতি!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : নাটোরের লালপুর থানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগমের কক্ষে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ গাইড বই পাওয়া গেছে। এসব বই কিনতে শিক্ষার্থীদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র অভিযোগ করে জানান, নতুন বছরের ১ম দিন থেকেই প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগম নিজে ও অনান্য সহকারী শিক্ষক মারফত বিভিন্ন শ্রেণিতে গিয়ে লেকচার পবলিকেশন্সের গাইড বই কিনতে ছাত্রীদের চাপ দিতে থাকেন। বাধ্যতামূলকভাবে সহকারী শিক্ষকদের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষিকা ওই প্রকাশনীর গাইড বই কেনার জন্য চাপ দিলে ছাত্রীরা তাদের অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। অভিভাবকরা বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে অবহিত করলে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে রোববার দুপুরে তিনি বিদ্যালয়ে যান। গাইড কিনতে বাধ্য করার বিষয়ে কথা বলতে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলে স্তুপ আকারে রাখা ওই প্রকাশনীর ২৪০টি গাইড বই দেখতে পান। রবিবার দুপুর ২টার দিকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: হায়দার আলী সরেজমিনে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে লেকচার প্রকাশনীর ২৪০টি গাইড বই স্তুপাকারে রাখা দেখতে পান। তবে সে সময় প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন না। পরে তিনি ওই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: হায়দার আলী বলেন, প্রধান শিক্ষক বছরের শুরুতেই একটি গাইড প্রকাশনীর সঙ্গে চুক্তি করে বিদ্যালয়েই গাইড বই বিক্রি শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীদের গাইড কিনতে বাধ্য করার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তবে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শরীফা বেগম ঘটনা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, পারিবারিক অনুষ্ঠানের কারণে ছুটিতে থাকায় তিনি গাইড বই সম্পর্কে কিছু জানেন না। তবে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতারা তার কক্ষ ব্যবহার করে থাকতে পারেন। গাইড কিনতে ছাত্রীদের বাধ্য করার অভিযোগটিও ভূল। এ প্রসঙ্গে লালপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি হযরত আলী গাইডগুলো নিজেদের দাবি করে বলেন, বছরের শুরুতে বিভিন্ন গাইড কোম্পানির প্রতিনিধিরা শিক্ষকদের জন্য বই দিয়ে থাকেন। সমিতির নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় উপজেলা সমিতির জন্য বরাদ্দ গাইডগুলো ওই বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছিলো। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো: রমজান আলী আকন্দ জানান, সরকার গাইড বই নিষিদ্ধ করেছে। সেই নিষিদ্ধ গাইড বই কেনো প্রধান শিক্ষকের কক্ষে রাখা হলো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।




Archives
Image
অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
Image
প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে যা বললেন বেনজীর আহমেদ
Image
দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল বন্ধ, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি
Image
ঋণের চাপে বরিশালে দুই সন্তানের জননীর আত্মহত্যা
Image
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র আল মঈন