Current Bangladesh Time
বৃহস্পতিবার এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » আত্মহত্যা নয়, দুধ গরম করতে দেরি হওয়ায় বরিশালে খুন হলেন ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা! 
Wednesday February 26, 2020 , 8:16 pm
Print this E-mail this

মারধরের পর আত্মহত্যার চেষ্টার নাটকও সাজিয়ে ছিলো হেনার চতুর স্বামী সোহাগ

আত্মহত্যা নয়, দুধ গরম করতে দেরি হওয়ায় বরিশালে খুন হলেন ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা!


শামীম আহমেদ : আত্মহত্যা নয়; স্বামীর নির্যাতনেই মারা গেছেন বরিশাল সরকারী ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী হেনা আক্তার (৩০)। দুধ গরম করতে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্বামী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগের নির্যাতনে তার (হেনা) মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এমনকি মারধরের পর আত্মহত্যার চেষ্টার নাটকও সাজিয়ে ছিলো হেনার চতুর স্বামী সোহাগ। পুলিশের সুরতহালে নিহত হেনার শরীরের হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেয়ে এনিয়ে পুরোপুরিভাবে মুখ খুলতে নারাজ পুলিশ। তবে হত্যার অভিযোগে হেনার স্বামী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগকে গ্রেফতারের বিষয়টি বুধবার সকালে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম পিপিএম। হেনার অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরাফাত রহমান হাসান জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী দিবাগত রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে প্রচার করে সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ও এক সন্তানের জননী হেনা আক্তারকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বামী। এরপর মঙ্গলবার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যু হয় হেনা আক্তারের। তবে তার মৃত্যু নিয়ে শুরু থেকেই সন্দেহের সৃষ্টি হয়। নিহতের পরিবারের সদস্যরা এটিকে সুপরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে হেনার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন পুলিশ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, একসময় হেনা আক্তার বিএম কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এমনকি তিনি (হেনা) বিএম কলেজের বনমালী গাঙ্গুলী ছাত্রী হোস্টেলের নিয়ন্ত্রক ছিলেন। একইসময় নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোড এলাকার বাসিন্দা নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগ ওরফে পাসপোর্ট সোহাগের সাথে পরিচয় হয় হেনা আক্তারের। পরিচয় থেকে প্রেম। এমনকি সেই সম্পর্ক শেষপর্যন্ত বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সূত্রমতে, দুইজনের মতেই বিয়ে হওয়া সত্বেও তাদের এ সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি সোহাগের পরিবার। এ কারনে তারা আলাদাভাবে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। এনিয়ে সোহাগ ও হেনার মধ্যে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিলো। তাছাড়া প্রায়ই হেনাকে মারধর করতো সোহাগ। সূত্রমতে, ঘটনার দিন রাতে হেনাকে দুধ গরম করে আনতে বলে সোহাগ। হেনা পরে দুধ গরম দেয়ার কথা বলেন। এনিয়ে সোহাগ ও হেনার মধ্যে তুমুল বাগ্বিতন্ডা হয়। একপর্যায় স্বামী সোহাগ ক্ষুব্ধ হয়ে হেনাকে মারধর করেন। এতে হেনা জ্ঞান হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি তার কান থেকে রক্ত ঝড়তে শুরু করে। ওই রাতেই হেনাকে মুমূর্ষ অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে সোহাগ। ভর্তির সময় হেনা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে চিকিৎসককে জানানো হয়। পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, হেনার মৃত্যুর পর থেকেই ঘটনাটি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এমনকি নিহতের মৃতদেহের সুরতাহাল করতে গিয়ে হত্যার আলামতও খুঁজে পায় পুলিশ। এ কারনে মঙ্গলবার বিকেলে সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। বুধবার সকালে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, ঘটনার রাতে সোহাগ ও হেনার মধ্যে দুধ গরম দেয়া নিয়ে ঝগড়ার কথা স্বীকার করেছে সোহাগ। তবে এরপর হেনাকে মারধর করা হয়েছে কিনা সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছিলো। জিজ্ঞাসাবাদে হেনার মৃত্যুর পেছনে সোহাগের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তাই তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।




Archives
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: চান মিয়ার শেষ বিদায়
Image
বরিশালে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার
Image
২৪ বছর পর কারামুক্ত ওলিউলকে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
আবারও ক্যান্সারে মৃত্যু, বড়সড় জরিমানার মুখে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’
Image
অকালেই নিভে গেল শিশু সামিয়ার জীবন প্রদীপ