Current Bangladesh Time
বুধবার এপ্রিল ২৪, ২০২৪ ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » ঘূর্ণিঝড় আম্ফান’র প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বরগুনায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত 
Thursday May 21, 2020 , 12:25 pm
Print this E-mail this

সাড়ে ১১ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে, অন্তত ১৫টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত

ঘূর্ণিঝড় আম্ফান’র প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বরগুনায় অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বরগুনার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ডুবে গেছে ওইসব এলাকার ঘরবাড়ি। এছাড়াও জলোচ্ছ্বাসের পানিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে মুগডাল, চিনা বাদাম এবং ভুট্টার ক্ষেত। বরগুনার বিভিন্ন স্থানের অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জেলার পাথরঘাটা উপজেলার গাব্বাড়িয়া, পদ্মা, খলিফার হাট, মাছের খাল, কালমেঘা, কাঁঠালতলীসহ সদর উপজেলার আয়লা-পাতাকাটা, বুড়িরচর, ছোট লবণগোলা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে জলোচ্ছ্বাসের পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়াও বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ, পূর্ব সফিপুর এবং বামনা লঞ্চঘাট, অযোদ্ধা, কলাছিয়া বড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী কাঁঠালতলী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মনমথ রঞ্জন খরাতী বলেন, এই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে দুইটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এই দুই গ্রামের মাছের ঘের ভেসে অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দুই গ্রামের অন্তত দুইশ একর জমির মুগডাল সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহেল রানা বলেন, এই ইউনিয়নের কুমিরমারা এলাকায় বেশকিছু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ শুরু হয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল রাতে বরগুনায় সাড়ে ১১ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। এতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। তবে প্লাবিত এলাকা থেকে ইতোমধ্যেই পানি নেমেও গেছে। আমরা ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত মেরামত করার জন্য কাজ শুরু করেছি। এদিকে বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো: মনিরুজ্জামান বলেন, সদর উপজেলার একটি মুরগি খামারের ৮শ মুরগি জলোচ্ছ্বাসের কারণে মারা গেছে। এতে এক লাখ ২৬ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও তালতলী উপজেলার একটি গাভীর খামারে ক্ষতি হয়েছে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকার। আরও দুইটি মুরগির খামারে ক্ষতি হয়েছে ছয় লাখ টাকার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরগুনায় ক্ষতি নিরূপণের তালিকা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি। বরগুনা জেলা ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক দেওয়ান সোহেল রানা বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পর আমি বরগুনা সদর উপজেলার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ নিশানবাড়িয়া এবং চালিতাতলা এলাকাসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখেছি। এছাড়াও বেতাগী উপজেলার বদনিখালী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। এসব এলাকায় কিছু গাছপালা ভেঙে উপড়ে পড়েছিল, তা আমরা অপসারণ করেছি। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে এসব এলাকায় তেমন কোনো ক্ষতিসাধন হয়নি। এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, আমরা আগে থেকেই সতর্ক থাকায় ও যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করায় জেলায় তেমন কোনো ক্ষতিসাধন হয়নি। তারপরও আমরা জেলার ক্ষতির তালিকা নিরূপণের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।

সূত্র : জাগো নিউজ




Archives
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: চান মিয়ার শেষ বিদায়
Image
বরিশালে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার
Image
২৪ বছর পর কারামুক্ত ওলিউলকে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
আবারও ক্যান্সারে মৃত্যু, বড়সড় জরিমানার মুখে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’
Image
অকালেই নিভে গেল শিশু সামিয়ার জীবন প্রদীপ