Wednesday May 27, 2020 , 3:05 pm

এবারেই ঈদ আনন্দ ভ্রমণপ্রেমি চলাচল ও জন সমাগম শুণ্য হয়ে পড়েছে

করোনায় বরিশালে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে আনন্দ ভ্রমণপ্রেমীদের স্পটগুলো

শামীম আহমেদ, অতিথি প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ সংক্রমনের আঘাতে বরিশাল নগরীর আনন্দ বিনোদনের স্পট প্লানেট ওর্য়াল্ড, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক চাদমারী কোরিয়ান গোডাউন, কীর্তনখোলা নদীর পাড় ও শহীদ আ: রব সেরনিয়াবাত সেতু স্থানগুলো বিনোদন প্রেমীদের ঈদ ভ্রমণ আনন্দ ম্লান করে দেয়ার কারণে সেখানে নেই কোন ভ্রমণপ্রেমীদের সমাগম। প্রতিবছর যেখানে ঈদ ও কোরবানীতে বিনোদন স্পটগুলো দুপুরের পর পরই সরকারী চাকুরীজীবীদের পরিবার, প্রেমিক-প্রেমিকা ও শিশুদের সমাগম, আনন্দে কোলাহলে রাত পর্যন্ত মুখরিত হয়ে থাকত। এবার ঈদের ২য় দ্বীতিয় দিনে কিছু সংক্ষক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের কোমলমতি শিশুদের নৌকায় চড়ে কীর্তনখোলা ভরা জোয়ারের উত্তল ডেইয়ের সাথে ঘোরার মধ্যে কিছু সময়ের জন্য আনন্দ তাদের মনে কিছুটা সস্তি এনে দিয়েছে। তবে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উক্ত স্থানগুলোতে প্রতিবছর এই সময়ে যারা পরিবার-পরিজন ও তাদের সন্তানদের নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে একটু আনন্দ উপভোগ করার জন্য বের হত এই সময়ে সেসব ধরণের পরিবারে কোন সদস্যকে দেখা যায়নি। এমনকি বিকাল হলে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ত্রিশ গোডাউন, কীর্তনখোলা নদীতে নৌকায় চড়ে প্রেমিক-প্রেমিকাদের ঘোরা-ফেরা ও চলাচলের যে দাপট থাকত তারাও এবার করোনার প্রভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫ থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বরিশাল নগরীর বিভিন্ন বিনোদন স্পটে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় যাও দু’একজন যুবক-যুবতি মুক্তিযোদ্ধা পার্কে ঘুরতে এসে পড়েছে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পূণরায় তাদের দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে দেখা দেছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু উদ্যোনের প্রবেশ মুখে বেঞ্চ রেখে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে বসে আছে একদল পুলিশ। অপরদিকে উদ্যানের শিশু পার্কের প্রধান ফটকেও ঝুলছে তালা। অন্যদিকে বরিশাল নগরীর সবচেয়ে শিশু ও প্রেমিক-প্রেমিকাদের আনন্দ বিনোদন কেন্দ্র প্লানেট ওর্য়াল্ডের প্রধান ফটক সহ পার্কের সকল বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় ভিতরে এখন শুনশান নিরবতা বিরাজ করছে। এসময়ের মধ্যে একমাত্র ডিসি লঞ্চঘাট এলাকার সামনে কয়েকটি স্পটে বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে বসে আছে চালকরা, সেখান থেকে কতিপয় নিম্ন মধ্য বিত্ত পরিবারের শিশু সন্তানরা নৌকা ভাড়া করে কীর্তন ভরা জোয়ারের পানি আর কীর্তনখোলার উত্তাল ডেউয়ে ক্ষণিকের আনন্দ করে পূণরায় তীরে ফিরে এসে চালকরে ভাড়াগুনে চলে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে সাবেক জননন্দিত সিটি মেয়র শওকত হোসেন নগরবাশীর জন্য একটু শান্তির পরশ ও বিনোদনের জন্য মেরিন একাডেমি এলাকার কীর্তনখোলা নদীর তীরে গড়ে তুলেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা পার্ক যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি হিরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্লানেট ওর্য়াল্ড শিশু পার্কটি গত বছরের মধ্যে এবারের প্রথম কভিড-১৯ করোনার ছোবলের মুখে পড়ে গত ১০ বছরে মধ্যে এক কথায় বলা যায় এবারেই ঈদ আনন্দ ভ্রমণপ্রেমি চলাচল ও জন সমাগম শুণ্য হয়ে পড়েছে।