Current Bangladesh Time
শুক্রবার এপ্রিল ১৯, ২০২৪ ৯:৫৭ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » অযত্ন আর অবহেলায় এক যুগ ধরে পরিত্যক্ত বরিশালের ২৩টি খাদ্যগুদাম! 
Monday May 20, 2019 , 12:44 pm
Print this E-mail this

অযত্ন আর অবহেলায় এক যুগ ধরে পরিত্যক্ত বরিশালের ২৩টি খাদ্যগুদাম!


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : নানা সংকটের কারণে দীর্ঘ এক যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে বরিশালের বিভিন্ন জেলার ২৩টি খাদ্যগুদাম (এলএসডি)। এতে প্রতি বছর বিভিন্ন প্রকার খাদ্যশস্য সংরক্ষণে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে সরকারকে। অথচ অল্প খরচে এসব গুদাম মেরামত করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, খারাপ যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকা, বাসস্থানের অব্যবস্থাপনা ও জনবল সংকটের কারণে এক যুগ ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে বরিশালের এসব এলএসডি। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এলএসডিগুলো সহজেই মেরামতযোগ্য। এসব গুদাম মেরামত করে কৃষকদের জন্য শস্য সংরক্ষণাগার কিংবা হিমাগারে রূপান্তর করে ভাড়া দেয়া সম্ভব। এতে সরকারও লাভবান হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বরিশাল বিভাগের ৪০ উপজেলায় ৬৭টি এলএসডি রয়েছে। এর মধ্যে দীর্ঘ এক যুগ ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে ২৩টি। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকা ভবনগুলো পরিচর্যার অভাবে ক্রমেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়ছে। অথচ গুদামগুলো স্বল্প খরচে মেরামতযোগ্য। ১৯৮০ সালের দিকে ১০ শতাংশ জমির ওপর ৫০০ থেকে ১ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এসব গুদাম গড়ে তোলা হয়। ওই সময় প্রতিটি ৫০০ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম নির্মাণে ব্যয় হয় ১ কোটি টাকার ওপর। এর মধ্যে পাঁচটি রয়েছে ১ হাজার টন খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। ওইসব গুদাম নির্মাণে ব্যয় হয় ২ কোটি টাকার ওপর। অব্যবহূত গুদামের মধ্যে রয়েছে বরিশাল জেলায় একটি, ভোলায় ছয়টি, পিরোজপুরে একটি, পটুয়াখালীতে ১০টি ও বরগুনায় পাঁচটি। সূত্র জানায়, কৃষকদের কথা চিন্তা করেই ওই সময়ে গুদামগুলো নদীর তীরে কিংবা সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থাসমৃদ্ধ অঞ্চলে গড়ে তোলা হয়। এগুলোর গুরুত্ব এখনো সমানভাবে বিদ্যমান। কিন্তু গুদামগুলো গুরুত্বহীন মনে করছেন শুধু বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তারা। সূত্র আরোও জানায়, বর্তমানে বরিশাল বিভাগে ৪৪টি গুদাম কার্যকর রয়েছে। এসব গুদামের ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টন। তবে গুদাম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে যে ৪৪টি গুদাম রয়েছে, তা দিয়েই আপাতত কাজ চালানো যাচ্ছে। এর বেশি গুদামের প্রয়োজন নেই। বেশি গুদাম থাকলে ব্যয় বেশি হয় বলে মনে করেন তারা। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, যেখানে উত্পাদিত শস্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে পানির দামে বিক্রি করতে হচ্ছে, সেখানে গুদাম সংরক্ষণে এমন অবহেলা কৃষকদের ওপর অবিচার করার শামিল। প্রয়োজনে গুদামগুলো মেরামত কিংবা হিমাগারে রূপান্তর করে ভাড়া দিলে হাজার হাজার কৃষক লাভবান হবেন। অন্যদিকে সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। শুধু সামান্য সংস্কারের অভাবে সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসব গুদাম ফেলে রাখার কোনো মানে হয় না। তাই গুদামগুলো সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলার দাবি কৃষকদের। বাকেরগঞ্জ কলসকাঠীর স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ওই এলাকার গুদামটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহূত। তাদের প্রয়োজনের সময় এটি কোনো কাজে আসছে না। গুদামটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় তাতে পোকামাকড় বাসা বেঁধেছে। তাই এটি দ্রুত সংস্কার করে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলার দাবি জানায় তারা। এ ব্যাপারে বরিশাল আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: আমজাদ হোসাইন বলেন, ‘নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও মরে যাওয়া, রাস্তাঘাটের দুরবস্থা, বিদ্যুৎ ও আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় পরিত্যক্ত এসব গুদামে কাজ করা সম্ভব হয় না। তার পরও এসব অব্যবহূত গুদাম সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে গুদামের সংস্কারকাজ করে পুনরায় তা ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।’




Archives
Image
অভিমান ভুলে একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন তাহসান-মিথিলা
Image
বোতলজাত সয়াবিনের লিটারে দাম বাড়ল ৪ টাকা
Image
শিল্পী সমিতি নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন না ফেরদৌস-মৌসুমী!
Image
একই পরিবারে নিহত ৬, হানিমুনে যাওয়া হলো না নবদম্পতির
Image
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর