Current Bangladesh Time
বৃহস্পতিবার এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ১২:৫৮ অপরাহ্ণ
Latest News
প্রচ্ছদ  » স্লাইডার নিউজ » আজ রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, জাদু সম্রাট পিসি সরকার’র (স্বর্গীয়) জন্মদিন 
Sunday February 23, 2020 , 9:44 pm
Print this E-mail this

বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার আশকপুরে জন্মগ্রহণ করেন জাদুসম্রাট প্রতুলচন্দ্র সরকার (পিসি সরকার, সিনিয়র)

আজ রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, জাদু সম্রাট পিসি সরকার’র (স্বর্গীয়) জন্মদিন


মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট :  আজ রবিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, জাদু সম্রাট পিসি সরকার’র (স্বর্গীয়) ১০৭ তম জন্মদিন। ১৯১৩ সালে অধুনা বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার আশকপুরে জন্মগ্রহণ করেন জাদুসম্রাট প্রতুলচন্দ্র সরকার (পিসি সরকার, সিনিয়র)। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে তাঁর শো ‘ইন্দ্রজাল’ বিশ্বজুড়ে ব্যাপক খ্যাতি লাভ করেছিল। তাঁর জাদুর সেরা দু’টি অ্যাক্ট—‘এক্স-রে আই’ ও ‘ওয়াটার অফ ইন্ডিয়া’। খুব অল্প বয়সেই জাদু শেখেন গুরু গণপতি চক্রবর্তীর কাছে। ছাত্রাবস্থায় স্কুল-কলেজে প্রচুর শো করেছেন। পরবর্তীকালে পেশা হিসাবে বেছে নেন ‘ম্যাজিক’কেই। জাদুর ‘মায়াজাল’ বিস্তার করেছিলেন প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্যে। পেয়েছেন ‘জার্মান গোল্ডবার’, ‘গোল্ডেন লরেল গারল্যান্ড’, ‘ডাচ ট্রিকস’ পুরস্কার। তিনি জাদুর উপর মোট ২২টি বই লেখেন। উল্লেখযোগ্য হল—হিপনোটিজম, মেসমেরিজম, ম্যাজিকের কৌশল, সরকার অন ম্যাজিক। ১৯৬৪ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী খেতাব দেন।তাঁর সম্মানার্থে ভারতীয় ডাক বিভাগ ২০১০ সালে ৫ টাকা মূল্যের ডাক টিকিট চালু করে।

কি করে বালক প্রতুল হলেন জাদু সম্রাট পিসি সরকার (সিনিয়র):

জাদু শিল্পীর মহাকাশে পরাক্রমশালী ব্যক্তিত্ব নিয়ে আবির্ভূত হয়ে যিনি নিচের মেধা-মনন আর প্রঙ্গার সংমিশ্রণ ঘটিয়ে জাদু প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষের চিত্তরঞ্জন করে অমর হয়েছেন, বিশ্ব জাদু অঙ্গনের কালজয়ী সেই মহাপুরুষ জাদুর জাদুকর জাদু সম্রাট পিসি সরকার। গত শতাব্দীর বিষ্ময় বিশ্ববরেণ্য জাদু সম্রাট পিসি সরকার জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, বর্তমান টাঙ্গাইল জেলার সদর থানার অন্তর্গত আশেকপুর নামক গ্রামে। তার পুরো নাম প্রতুল চন্দ্র সরকার। তার পিতার নাম ভগবান চন্দ্র সরকার। আর মায়ের নাম কুসুম কামিনীদেবী। বিশ্ব জাদু অঙ্গনে আচার্য প্রতিভা প্রতুল চন্দ্র সরকার মাত্র সাত মাস এই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম গ্রহণ করে নিশ্চিত মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে আচ্ছা আশ্চর্য জনকভাবে বেঁচে যান। সমাজে অসংখ্য মানুষকে চমকিত করার, আশ্চার্য করার পালা শুরু হয় তার তখন থেকেই। এরপর দীর্ঘ জীবনে চমকপ্রদ জাদু প্রদর্শনী করে দেশে-বিদেশে অসংখ্য দর্শককে আনন্দ প্রদানের মাধ্যমে জাদুশিল্পকে করেছে সমৃদ্ধ। শিশু বয়সেই জাদুবিদ্যার প্রতি ঝুঁকে পড়েন প্রতুল চন্দ্র সরকার। তার ওস্তাদের নাম দীনেশ চন্দ্র নন্দী। খুব ভালো ক্লোজআপ ম্যাজিক দেখাতে পারতেন। হাতের খেলার ছিল তার যথেষ্ট খ্যাতি। তাসের জাদু তে ছিলেন অত্যন্ত পারদর্শী। তার কাছেই যাদুবিদ্যার হাতে খড়ি হয় প্রতুল চন্দ্র সরকারের। তবে পরবর্তী জীবনে তিনি আরেক জাদু সম্রাট গণপতি চক্রবর্তী স্নেহধন‍্য হন এবং তার একান্ত সান্নিধ্য লাভ করেন। গুরু দীনেশচন্দ্র নন্দীকে প্রতুল চন্দ্র নন্দী মামা বলে ডাকতেন। তবে নন্দী মামা প্রতুলের আপন মামা ছিলেন না। তিনি ছিলেন তার মায়ের ভাইয়ের শ্যালক। সেই অর্থে মায়ের দূর সম্পর্কের ভাই। তাই প্রতুল চন্দ্র ওকে মামা বলে ডাকতেন। নন্দী মামা নিয়মিত এ বাড়িতে আসতেন না। তবে ভাগ্নে প্রতুলের প্রতি তার ছিল যথেষ্ট টান। একটু ফুরসুত পেলে বাই সাইকেলের প্যাডেল মেরে চলে আসতেন সরকার বাড়ি। বোন কিংবা ভগ্নিপতির সঙ্গে সময় দেয়ার চেয়ে ভাগ্নে শিশু প্রতুলের সঙ্গে বেশি কথা হতো নন্দিমামার। ফাঁকফোকর বুঝে চট্ করে দু একটা নতুন ম্যাজিক দেখিয়ে দিতেন বালক প্রতুলকে। উৎসুক বালক প্রতুল দু চোখ বড় বড় করে দেখতে নন্দী মামার জাদু। আহ! কি সুন্দর! পরক্ষণেই বায়না ধরতেন জাদুটা শিখিয়ে দেয়ার জন্য। অমনি স্বভাবসুলভ হাসি হেসে মামা শিখিয়ে দিতেন। নন্দী মামার বদৌলতে বালক প্রতুল শিখে নিয়েছেন বেশ কিছু ম্যাজিক। উৎসাহী প্রতুল কে আরো উৎসাহিত করার জন্যই তিনি কিনে এনে দিতেন ম্যাজিকের বই। নিজ হাতে বানিয়ে দিতেন তাসের ম্যাজিক ছোটখাটো দু একটি ম্যাজিক ইন্সট্রুমেন্ট। তবে এটা কে একদমই ভালো চোখে দেখতেন না ভগবান চন্দ্র সরকার। ম্যাজিক শেখানো অছিলায় তার ছেলেকে নষ্ট করে দিচ্ছেন নন্দি এমনই অভিযোগ করতেন ভগবান চন্দ্র সরকার। ভগবান চন্দ্রের ইচ্ছা ছিল পুতুলকে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার কিংবা নিদেনপক্ষে হাকিম করার। কারন সমাজের যশ-খ্যাতি অর্থ প্রতিপত্তি পেতে হলে ওই তিনটি পেশাই ছিল সকলের কাছে পছন্দের। তাছাড়া জাদু তখনও ভারতবর্ষে পুরোপুরি শিল্পের মর্যাদা অর্জন করতে পারেনি। অজ পাড়া গাঁয়ে জাদুকে অচ্ছুতই মনে করা হতো। এতকিছুর পরেও ভগবান চন্দ্র সরকার সন্তানের ইচ্ছের বিরুদ্ধে খুব শক্ত অবস্থান নেন নি নিতে পারেন নি। প্রতুল কে ভগবান চন্দ্র প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। তিনি ছিলেন ভগবান চন্দ্র সরকারের ও কুসুম কামিনীর অনেক সাধনার ফল। এর আগে এই দম্পতির সাতটি সন্তান হয় গর্ভাবস্থায় না হয় ভূমিষ্ঠ হয়ে মারা গেছে। এতদিন পরে জীবিত সন্তান। ভগবান চন্দ্রের আনন্দের আর সীমা রইলো না। নাম রাখলেন প্রতুল। অর্থাৎ যথেষ্ট। হলোই বা না হয় সাত মাসে ভূমিষ্ঠ হওয়া দুর্বল স্বাস্থ্যর, এই যথেষ্ট যেন বেঁচে থাকে। আরো ১৬বছর পর (১৩ নভেম্বর হাজার ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে) ভগবান চন্দ্রের ঘরে আরও একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। ওর নাম রাখলেন অতুল চন্দ্র সরকার। পরবর্তীকালে যিনি জাদুকর এ.সি সরকার নামে পরিচিত লাভ করেন। এখানে বলা প্রয়োজন যে, প্রতুল চন্দ্র সরকারের ডাক নাম রাখা হয়েছিল “বুড়ো’। যাতে অনেক বেশি বয়স অবধি বাঁচেন। কিন্তু ভগবান চন্দ্রের সেই ইচ্ছে পূর্ণ করেননি ভগবান। বুড়ো হওয়ার আগেই মাত্র ৫৭ বছর ১১ মাস বয়সে প্রতুল চন্দ্র ওরফে বুড়ো দুনিয়াজোড়া তার অগণিত ভক্তদের কাঁদিয়ে ইহজগৎ থেকে চিরবিদায় নিলেন। গ্ৰামের পাঠশালার পাঠ চুকিয়ে প্রতুল চন্দ্র সরকার ভর্তি হলেন করোটিযার শিবনাথ ইংরেজি হাইস্কুলে (বর্তমান শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়)। ইতোমধ্যে ম্যাজিকের প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শুরু করেছেন গোপনে গোপনে। এর মধ্যে ওর হাতে পৌঁছে গেছে আধুনিক ম্যাজিক শিক্ষার বেশকিছু ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত বই।

বরিশাল মুক্তখবর পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী




Archives
Image
পিরোজপুরের কাউখালীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: চান মিয়ার শেষ বিদায়
Image
বরিশালে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় কথিত যুবলীগ নেতা মাসুদ গ্রেফতার
Image
২৪ বছর পর কারামুক্ত ওলিউলকে বাঁচার স্বপ্ন দেখালেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
Image
আবারও ক্যান্সারে মৃত্যু, বড়সড় জরিমানার মুখে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’
Image
অকালেই নিভে গেল শিশু সামিয়ার জীবন প্রদীপ