|
অপপ্রচার ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ নজরদারির কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন
মুক্তখবর ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও দল নিয়ে বিদ্বেষমূলক ও অপপ্রচার ঠেকাতে বিশেষ নজরদারির কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। এ মিডিয়ায় প্রচারণা চালানোর বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ আচরণবিধিতে না থাকায় দ্রুত করণীয় ঠিক করতে কমিশনের নির্দেশনা চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তারা। সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় অপপ্রচার ঠেকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও ই নজরদারি করে। সে সময় টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করে ইসি সচিবালয়। ঢাকা সিটি নির্বাচনেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারে কমিশন। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ‘ভার্চুয়াল’ সব মাধ্যমে প্রচারণার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুমতি চেয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে গত মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত চিঠি দেন তিনি। এ বিষয়ে উত্তরের নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির যুগ্মসচিব আবুল কাসেম জানান, আইনের মধ্যে থেকে প্রচারণা চালাতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিষয় বিদ্যমান আচরণবিধিতে নেই। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, দল বা তাদের সমর্থক কোনো ধরনের বিদ্বেষমূলক, উসকানিমূলক বা আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়- এমন কিছু করলে তা নজরদারি করা হবে। নির্বাহী হাকিম ভোটের মাঠে আচরণবিধি তদারকিতে থাকবে। কোনো অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, সার্বিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টি কীভাবে তদারকি করা যায়- তা নিয়ে কমিশনের নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রচলিত আইনবিধি অনুসরণের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে। নির্বাচন কর্মকর্তারা জানান, এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা ২০ দিন প্রচারের সুযোগ পাচ্ছেন। আচরণবিধি মেনে প্রচার চালাতে ইতোমধ্যে প্রার্থীদের অনুরোধ জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এ ছাড়া আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন দেখভালে মাঠে রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও। গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। দুই সিটিতে মেয়র পদে ১৪ জন এবং ১৭২ পদের বিপরীতে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী হন এক হাজার ২৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরে মেয়র প্রার্থী সাতজন, কাউন্সিলর ৩৭৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ৮৯ জনসহ মোট ৪৭০ জন এবং দক্ষিণে মেয়র পদে সাতজন, সাধারণ কাউন্সিলর ৪৬০ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর ১০২ জনসহ মোট ৫৬৯ জন রয়েছেন।
Post Views:
১৩২
|
|